ইমিগ্রেশন নিউজ ডেস্ক :
ইতালিতে ফিরে যাওয়ার ফ্লাইট চালু, বৈধ অভিবাসীদের বসবাসের অনুমতির মেয়াদ বাড়ানো ও সহজ শর্তে রি-এন্ট্রি ভিসা দেওয়ার দাবিতে রাজধানী ঢাকায় মানব-বন্ধন করেছেন ছুটিতে দেশে এসে আটকে পড়া ইতালিপ্রবাসী বাংলাদেশিরা।
আজ রোববার (১৩ জুন) দুপুর ১২টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এই মানব-বন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বক্তারা ইতালিয়ান সরকারের সঙ্গে কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়ানোর মাধ্যমে কর্মস্থলে ফিরে যাওয়ার ক্ষেত্রে সব বাধা অপসারণে দ্রুত প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
‘ইতালিপ্রবাসী, বাংলাদেশি’ ব্যানারে আয়োজিত এই মানববন্ধনে আয়োজকদের মধ্যে বক্তব্য দেন মুখপাত্র অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ইমাম হোসাইন রতন, মো. অনিক হাওলাদার, শাহজাহান মোল্লা, মো. গিয়াসউদ্দিন, ছান্টু কাজী, বাবু প্রমুখ।
অ্যাডভোকেট ইমাম হোসাইন রতন বলেন, ‘আমরা ইতালিতে স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতিপ্রাপ্ত। দীর্ঘদিন ধরে আমরা ইতালীয় নাগরিকদের সঙ্গে কাজ ও সংস্কৃতিতে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান করে আসছি। চলতি বছরের শুরুর দিকে করোনাভাইরাসের প্রকোপ কমতে থাকায় বহু প্রবাসী পরিবারপরিজনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে বা প্রয়োজনীয় অন্যান্য কাজে অল্পসময়ের জন্য দেশে আসি। কিন্তু ভারতীয় বা ডেল্টা ভেরিয়েন্টের অজুহাতে গত এপ্রিলের শেষ দিকে ইতালি প্রবেশে দেশটির সরকার যে নিষেধাজ্ঞা দেয়, সেখানে ভারত, শ্রীলঙ্কার সঙ্গে বাংলাদেশও রয়েছে। সেই নিষেধাজ্ঞা এখনো চলমান।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার কারণে অন্তত সাড়ে ৫ হাজারের মতো ইতালিপ্রবাসী বাংলাদেশি ফেরত যেতে পারেনি। এর ফলে আমরা নানা ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছি। অনেকেই স্ত্রী-সন্তানদের ইতালিতে রেখে দেশে এসে আটকা পড়েছেন, অনেকেই ইতোমধ্যে চাকরি হারিয়েছেন, অনেকেরই চাকরির মেয়াদ শেষ হওয়ার পথে, অনেকের ডকুমেন্টস নবায়নের সময় শেষ হয়ে গেছে। ইতালি ফিরতে না পারায় আমরা যেমন অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি, তেমনি আমাদের দেশ বঞ্চিত হচ্ছে রেমিটেন্স থেকে। এজন্য ইতালিয়ান সরকারের সঙ্গে কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে দ্রুত আটকে পড়া বাংলাদেশিদের কর্মস্থলে ফিরে যাওয়ার ব্যবস্থা করতে সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।’
মানব-বন্ধন শেষে আয়োজকদের পক্ষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ এবং গুলশানের ডিসির মাধ্যমে ইতালিয়ান রাষ্ট্রদূত এনরিকো নুনজিয়াতা বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়।