ইমিগ্রেশন নিউজ ডেস্ক :
একসময় খাকি পোশাকেই ছিল পুলিশের পরিচয়। পরে সময়ের সঙ্গে পরিবর্তন হয়েছে জেলা ও মহানগরভেদে। এছাড়া ইউনিট ও ব্যাটালিয়ন ভেদে পোশাকে ছিল ভিন্নতা। তবে এখন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) সব ব্যাটালিয়ন ও ইউনিটের পোশাক একই রকম করার পরিকল্পনা চলছে।
পুলিশ সদর দফতরের দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানিয়েছে, বর্তমানে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) কিংবা স্পেশাল সিকিউরিটি অ্যান্ড প্রোটেকশন ব্যাটালিয়নের (এসপিবিএন) যে পোশাক রয়েছে, সেই পোশাক নিয়মিত পুলিশের জন্যও করার চিন্তা-ভাবনা রয়েছে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের। তবে, সেটা কবে নাগাদ হবে জানা যায়নি।
২০০৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে পুলিশের পোশাক-বিধি সংশোধন করা হয়। নতুন বিধিতে পুলিশের মনোগ্রাম থেকে নৌকা, ক্যাপ, ব্যাজ ও বেল্ট থেকে নৌকার সঙ্গে বৈঠা বাদ দেওয়া হয়।এসময় পুলিশের পোশাক পরিবর্তন করে মহানগরগুলোয় হালকা জলপাই রংয়ের করা হয়। অন্যদিকে, জেলা পুলিশকে দেওয়া হয় গাঢ় নীল রংয়ের। র্যাবের কালো ও এপিবিএন-এর পোশাক তৈরি করা হয় খাকি, বেগুনি আর নীল রংয়ের মিশ্রণে। আর এসপিবিএন-এর পোশাকের জামার রং করা হয় ধূসর রংয়ের। প্যান্টও ভিন্ন ভিন্ন রংয়ের করা হয়। বর্তমানে পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা এসব রংয়ের পোশাক পরেই দায়িত্ব পালন করছেন।
২০০৯ সালের ডিসেম্বরে সেই বিধি আবার পরিবর্তন করে ১৯৮৫ সালের বিধি বহাল করে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার। পুলিশের সব সদস্যের পোশাকের ডান হাতের ওপর অংশে ‘বাংলাদেশ পুলিশ’ লেখা থাকে। কিন্তু আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নে (এপিবিএন) কর্মরত পুলিশের শার্টের ডান হাতে কলম রাখার জন্য তিনটি পকেট রাখা হয়।