ইমিগ্রেশন নিউজ ডেস্ক :
প্রায় শোনা যায় মালয়েশিয়ায় আটক হচ্ছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। এর আগেও বেশ কয়েকবার এমন ঘটনা ঘটেছে। করোনা মহামারীর মাঝেও নিয়মিত আটক হচ্ছেন প্রবাসী শ্রমিকরা। সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পরও অবৈধ অভিবাসীদের আটক করতে মাঝে মধ্যে অভিযান পরিচালনা করে। এ নিয়ে বাংলাদেশি কর্মীদের মধ্যে আতঙ্কের শেষ নেই।
অনেকে গ্রেপ্তার এড়াতে পালিয়ে বেড়ান। অনেক সতর্কতার মাঝেও বারবার আটকের শিকার হন অনেক অভিবাসী শ্রমিক। গত ২০ মার্চও রাজধানীতে অভিযান চালিয়ে ৩২৮ জন বিদেশিকে আটক করে অভিবাসন পুলিশ। যাদের মধ্যে ২০৪ জনই বাংলাদেশি।
এই ঘটনার এক মাস না যেতেই আবারও গ্রেপ্তার করা হলো অনেক শ্রমিককে। গত বুধবার (৭ এপ্রিল) বসবাসের বৈধ কাগজপত্র না থাকায় রাজধানী কুয়ালালামপুরের স্তেপাকের নির্মাণাধীন একটি অ্যাপার্টমেন্টে অভিযান চালিয়ে মোট ২৬৯ বিদেশিকে আটক করে দেশটির অভিবাসন পুলিশ। যাদের মধ্যে ১৯১ জন বাংলাদেশি অভিবাসী শ্রমিক। বাকিদের মধ্যে ইন্দোনেশিয়ান ৪৪ পুরুষ ও ১৩ নারী, মিয়ানমারের ১৮ পুরুষ ও একজন নারী। এ ছাড়া ভিয়েতনামের দুজন নারী রয়েছেন। তাদের বেশির ভাগই ওই নির্মাণস্থলে কর্মরত ছিলেন।
স্থানীয় সময় বুধবার দুপুরে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয় বলে জানান মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক দাতুক খাইরুল দজাইমি দাউদ। এ সময় ইন্দোনেশিয়ার একজন অবৈধ শ্রমিক ৩৫তলা কন্ডোমিনিয়ামের তৃতীয় তলা থেকে লাফ দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তবে শেষ অবধি তিনি ব্যর্থ হয়েছেন।
এ অভিযানে পুলিশ, জাতীয় নিবন্ধন বিভাগ, সিভিল ডিফেন্স ফোর্স এবং শ্রম বিভাগের প্রায় ১২০ জন কর্মকর্তা ও কর্মী এ সমন্বিতভাবে অভিযান পরিচালনা করেন।
আটকদের বিরুদ্ধে অভিবাসন আইন ১৯৫৯/৬৩ এর ধারা ৬(১)(গ) এবং ১৫(১)(গ) এবং অভিবাসন বিধিমালা ১৯৬৩ এর রেগুলেশন ৩৯(বি) এর অধীনে তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছে অভিবাসন পুলিশ।