পাসপোর্ট হচ্ছে একজন নাগরিকের রাষ্ট্রীয় পরিচয়পত্র, যেটি সরকার কতৃক প্রদত্ত এমন একটি ডকুমেন্ট যা আপনাকে দেশের বাহিরে ভ্রমণের বৈধতা দেয়।
বাংলাদেশ সরকার তিন ধরনের পাসপোর্ট দিয়ে থাকে যা- সাধারণ পাসপোর্ট (সবুজ মলাট), সরকারী পাসপোর্ট (নীল মলাট), এবং কূটনৈতিক পাসপোর্ট (লাল মলাট)। বর্তমানে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট বা এমআরপি এর পরিবর্তে শুধুমাত্র ই-পাসপোর্ট ইস্যু করা হচ্ছে।
সাধারণ ই–পাসপোর্ট তৈরির ধাপ সমূহ
প্রথম ধাপ– তথ্য সংগ্রহ ও তালিকাভুক্তি
প্রথমেই জেনে নিন আপনার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম শুরু হয়েছে কিনা। কার্যক্রম শুরু হলে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট dip.gov.bd যেয়ে ই-পাসপোর্টের পোর্টালে অপশন আপনার থানা, জেলা ও আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের নাম তালিকাভুক্ত করুন।
দ্বিতীয় ধাপ–আবেদন
ই-পাসপোর্টের পোর্টালে https://www.epassport.gov.bd প্রবেশ করে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে আবেদন করুন। আবেদন শেষ হলে ফরমটি ডাউনলোড করে প্রিন্ট করুন। এবং ফরমে নির্দেশনা অনুযায়ী প্রয়োজনী কাগজপত্র সঙ্গে রাখুন।
তৃতীয় ধাপ– ফি পরিশোধ
আবেদন শেষ হলে আপনার পাসপোর্টের ধরন ও মেয়াদ অনুযায়ী ফি পরিশোধ করতে হবে। ৪৮ পাতার ৫ বছর মেয়াদি (২১ দিনের মধ্যে ডেলিভারি) পাসপোর্টের জন্য ৪,০২৫/- টাকা, জরুরি (১০ দিনের মধ্যে) এর জন্য ৬,৩২৫/- টাকা এবং অতি জরুরি (২ দিনের মধ্যে) পাসপোর্টের জন্য ৮,৬২৫ টাকা পরিশোধ করতে হবে।
অনলাইনে ফি পরিশোধের পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় ব্যাংক সোনালী ব্যাংকসহ ওয়ান ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক, ট্রাস্ট ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া এবং ঢাকা ব্যাংকে নির্ধারিত ফি জমা দেওয়া যাবে। আপনার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের অধীনে উল্লিখিত কোনো একটা ব্যাংকে দিলেই হবে। ব্যাংক থেকে একটি পেমেন্ট স্লিপ দিবে, সেটি সংরক্ষণে রাখুন। একটি বিষয় বলে রাখা ভালো, ফি পরিশোধের ধাপটি সম্পূর্ণ করেও আবেদন করা যায়। সে ক্ষেত্রে আবেদন প্রক্রিয়া আরেকটু সহজ হবে]
চতুর্থ ধাপ– বায়োমেট্রিক
আবেদন ও ফি পরিশোধের প্রক্রিয়া শেষ হলে আপনাকে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে যেয়ে আপনার ছবি ও ফিঙ্গারপ্রিন্ট প্রদান করতে হবে। এসময় যেসব কাগজপত্র সঙ্গে রাখতে হবে-
১। আবেদনপত্রের সারংশের প্রিন্ট কপি (অ্যাপয়েন্টমেন্ট সহ)
২। শনাক্তকরণ নথির প্রিন্ট কপি (জাতীয় পরিচয় পত্র/ জন্ম নিবন্ধন নং)
৩। পেমেন্ট স্লিপ
৪। পূর্ববর্তী পাসপোর্ট এবং ডাটা পেজের প্রিন্ট কপি (যদি থাকে)
৫। তথ্য সংশোধনের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র(যদি থাকে)
৬। আবেদনপত্রের প্রিন্ট কপি(ঐচ্ছিক )।
আপনার আবেদন পত্রটি তালিকাভুক্তির পর পাসপোর্ট অফিস থেকে আপনাকে একটি টোকেন বা রশিদ দেওয়া হবে যেখানে আপনার তথ্য, পাসপোর্ট ডেলিভারি তারিখ এবং আরও কিছু তথ্য থাকবে।
পঞ্চম ধাপ–সংগ্রহ
পাসপোর্ট সংগ্রহের দিন আপনাকে টোকেন/রশিদ প্রদর্শন করে পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে হবে। তবে আপনার মনোনীত কোনো ব্যাক্তিও আপনার পক্ষে পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে পারবেন। আপনার পাসপোর্টের অগ্রগতি সম্পর্কে অনলাইন/ম্যাসেজিংয়ের মাধ্যমে জানতে পারবেন। মোবাইলের মেসেজ অপশনে –এ গিয়ে MRP<SPACE>EID NO লিখে 6969 নং এ send করে পাসপোর্টের বর্তমান স্ট্যাটাস জানতে পারবেন। এই বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন: ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্ত অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে