ইমিগ্রেশন নিউজ ডেস্ক :
ইউরোপের পথে প্রাণ হাতে নিয়ে পাড়ি দেওয়া থামছে না কিছুতেই। বরং এ প্রবণতা যেন বাড়ছেই। ফলে সমুদ্র পাড়ি দিয়ে অবৈধ পথে ঢুকতে গিয়ে প্রাণ দিতে হচ্ছে অনেককে। গত ছয় মাসে স্পেন উপকূলে মৃত্যুর সংখ্যা বলে দিচ্ছে অবস্থা কতটা ভয়াবহ।
২০২১ সালের প্রথম ছয় মাসে সমুদ্র পথে স্পেন উপকূলে পৌঁছাতে গিয়ে এ পর্যন্ত ২১০০ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন বলে উঠে এসেছে এনজিও কামিনান্দো ফ্রন্তেরাস প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে। সম্প্রতি প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে গত বছরের একই সময়ের চেয়ে অভিবাসীর মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় পাচঁ গুণ।
স্পেনভিত্তিক এনজিও কামিনান্দো ফ্রন্তেরাস এর সভাপতি হেলেনা ম্যালেনো এক সংবাদ সম্মেলনে সাগর পাড়ি দিয়ে অভিবাসন চেষ্টা সংক্রান্ত বার্ষিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন৷ তিনি বলেন, আমাদের জন্য এ বছরের প্রথম ৬ মাস ছিল ভয়ংকর একটা সময়।
জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ১৮ টি ভিন্ন দেশ থেকে ( যাদের বেশিরভাগই পশ্চিম আফ্রিকার দেশ ) সর্বমোট ২০৮৭ জন অভিবাসী স্পেন উপকূলে পৌছাতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন।
২০২১ সালে, সমুদ্রপথে ৯০ ভাগেরও বেশি মৃত্যু (১,৯২২) স্প্যানিশ দ্বীপ ক্যানারিতে পৌঁছাতে গিয়ে নৌকা ডুবির কারণে ঘটেছে। প্রায় ৫৭ টি নৌকা ডুবির ঘটনা লক্ষ্য করা গেছে বছরের প্রথম ছয় মাসে।
২০১৯ সালের শেষ দিক থেকে আফ্রিকা থেকে আসা অভিবাসীরা সাগর পাড়ি দিয়ে স্প্যানিশ দ্বীপের পৌঁছানোর চেষ্টা শুরু করেছে । মরোক্কার উপকূল থেকে ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জে পৌঁছানোর সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত পথটি ১০০ কিলোমিটারেরও বেশি। তবে ঐ অংশে সমুদ্রের স্রোত অত্যন্ত প্রতিকূল হওয়ায় এই পথটিকে খুব বিপজ্জনক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
হেলেনা ম্যালেনোর মতে, এ বছর প্রাণহানির ঘটনা বেড়েছে, সমুদ্রে ছোট নৌকার ব্যবহার বেশি হওয়ার কারণে৷ এই নৌকাগুলো তেমন নিরাপদ নয়। অভিবাসীদের বহন করা কাঠের নৌকাগুলো ডুবে যাওয়ার পরে সন্ধান করতে উদ্ধারকর্মীদের বেশ বেগ পেতে হয়েছে।
হেলেনা স্পেন এবং মরোক্কোর উদ্ধার পরিষেবাগুলোর মধ্যে অপর্যাপ্ত সহযোগিতার নিন্দা করেন৷ বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে কোনও সমন্বয় নেই। দুই দেশের মধ্যে কোন প্রকার তথ্য আদান প্রদান এবং কারিগরি সহযোগিতা হয় না৷’
তথ্যসূত্র: ইনফোমাইগ্রেন্টস